ট্রাম্পের সইয়ে পাকিস্তানের নারীরা পাবেন ৫০ শতাংশ বৃত্তি

ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষায় মেধাবৃত্তিতে সই করেছেন।
রয়টার্স ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষায় মেধাবৃত্তিতে সই করেছেন। ট্রাম্পের সইয়ের পর ‘মালালা ইউসুফজাই শিক্ষাবিষয়ক অ্যাক্ট’টি আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইন অনুসারে পাকিস্তানের নারীরা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

ডনের আজ রোববারের খবরে জানা যায়, এ মাসের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়। এটি প্রেসিডেন্টের সইয়ের জন্য হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়। নতুন এই অ্যাক্টের নামকরণ করা হয়েছে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নামে।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলছে, মালালা ইউসুফজাই স্কলারশিপ অ্যাক্টে স্থানীয় সময় গত বুধবার ট্রাম্প সই করেন। এই অ্যাক্টে ট্রাম্পের সইয়ের পর ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) অর্থায়নে পাকিস্তানের নারীরা মেধা ও প্রয়োজন অনুসারে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বৃত্তি পাবেন।

গত বছরের মার্চ মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রথমবার বিলটি পাস করা হয়। এরপর ১ জানুয়ারি মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়।

পাকিস্তানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানের নারীদের ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫০টি শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। এই শিক্ষাবৃত্তি পাঠ্যক্রম ও যোগ্যতা অনুসারে দেওয়া হবে। শিক্ষাবৃত্তি অনুসারে, ইউএসএইড যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও অভিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। পাকিস্তানের শিক্ষা কর্মসূচির উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।

বিশ্বের সর্ব কনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।

ইউএসএইডের বৃত্তির আওতায় মেধা ও আর্থিক ক্ষমতার ভিত্তিতে ‘কৃষি বা ম্যানেজমেন্ট’ শাখার পাকিস্তানি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হতো। গত বছর পর্যন্ত ১ হাজার ৮০৭টি বৃত্তির মধ্যে ২৫ শতাংশ পেয়েছিল ছাত্রীরা। ট্রাম্পের সইয়ের পর বৃত্তি বেড়ে ৫০ শতাংশে দাঁড়াল। এগুলো পাবেন শুধু পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রীরা।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন মালালা। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করায় তালেবানদের রোষের শিকার হন তিনি। যে বাসে করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, সেই বাসে উঠে বন্দুকধারীরা গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাকিস্তানের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পাকিস্তানে মালালার জীবন ঝুঁকির মধ্য পড়তে পারে ভেবে মালালার বাবাকে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান কনস্যুলেটের শিক্ষা বিভাগে নিযুক্ত করা হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

জাতিসংঘ ২০১৩ সালের ১২ জুলাইকে ‘মালালা ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে থেকে প্রতিবছর ১২ জুলাই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।