পাকিস্তানের প্রয়াত আইনজীবী ও স্পষ্টবাদী মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার পুরস্কার ২০১৮ ’-এ ভূষিত হয়েছেন। তাঁর মেয়ে মুনিজে জাহাঙ্গীর মায়ের পক্ষে সম্মানজনক এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। আসমা জাহাঙ্গীর ছাড়া আরও তিনজন এ বছর পুরস্কারটি পেয়েছেন।
প্রয়াত মায়ের তরফে পুরস্কারটি গ্রহণ করে মুনিজে জাহাঙ্গীর এটি পাকিস্তানের নারী সমাজ ও তাদের সাহসিকতার প্রতি উৎসর্গ করেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারজয়ী অন্যরা হলেন তানজানিয়ার নারী মানবাধিকারকর্মী রেবেকা গিউমি, ব্রাজিলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানবাধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত জোনিয়া ওয়াপিচানা ও আয়ারল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠন ফ্রন্ট লাইন ডেফেন্ডার্স।
নিউজ ইন্টারন্যাশনালের খবরে বলা হয়, এর আগে সম্মানজনক এই পুরস্কার যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন ইলিনর রুজভেল্ট, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, জিমি কার্টার ও মালালা ইউসুফজাই। জাতিসংঘ মানবাধিকার পুরস্কার পাওয়া চতুর্থ পাকিস্তানি নারী আসমা জাহাঙ্গীর। তাঁর আগে বেগম রানা লিয়াকত আলী খান (১৯৭৮), বেনজির ভুট্টো (২০০৮) ও মালালা ইউসুফজাই (২০১৩) পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী হিসেবে এই পুরস্কার পান।
আসমা জাহাঙ্গীর গত ফেব্রুয়ারিতে মারা যান। একজন স্পষ্টবাদী কর্মী হিসেবে এবং চরম প্রতিকূলতা ও চাপের মধ্যেও নির্ভীকভাবে কাজ করার জন্য সুখ্যাতি ছিল তাঁর। বঞ্চিত-শোষিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় এবং পাকিস্তানে আরও গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তাঁর লড়াই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।