ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারাহ খান। ইমরান খানের বিরোধীরা বলছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে দেশ ছেড়েছেন ফারাহ। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের পছন্দের জায়গায় বদলি ও পদায়ন দিয়ে ব্যাপক অর্থের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর এই দুর্নীতিকে সব কেলেঙ্কারির মূল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস টিবিউনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফারাহ খানের স্বামী আহসান জামিল গুজ্জর ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, গত রোববার ফারাহ দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাত্কারে ইমরান খান দাবি করেন, নতুন সরকার তাঁর এবং বুশরার চরিত্র হননের চেষ্টা চালাবে এবং ফারাহের দুর্নীতির কথা প্রচার করবে।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) সহসভাপতি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ দাবি করেছেন, ইমরান ও তাঁর স্ত্রীর ছত্রচ্ছায়ায় এই দুর্নীতি করেছেন ফারাহ।
মরিয়মের মতে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভয়, তিনি ক্ষমতা হারালে তাঁর সব দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বরখাস্ত পাঞ্জাবের গভর্নর চৌধুরী সারওয়ার এবং ইমরানের পুরোনো বন্ধু ও দলের অর্থায়নকারী আলিম খানও অভিযোগ করেছেন, ফারাহ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন।
ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব না থাকলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের অনেকেই দেশ ছাড়তে পারেন, এমন গুঞ্জনও রয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার গত রোববার খারিজ করার পর সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, পার্লামেন্টে তাঁদের পক্ষে ১৯৭ আইনপ্রণেতা আছেন, যা ইমরান সরকারকে হঠাতে প্রয়োজনীয় সমর্থনের চেয়ে ২৫ জন বেশি।
ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছেন ইমরান খানের বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী না ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।