ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শনিবার দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফফার এই কথা বলেন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন ডট কমের খবরে বলা হয়, মূলত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের বক্তব্যের জেরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পাল্টা এই জবাব দেয়।
মেজর জেনারেল আসিফ গাফফার বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু পাকিস্তানি জনগণ, প্রতিবেশী ও এই অঞ্চলের স্বার্থে শান্তির পথে হাঁটতে চাই।’ আসিফ গাফফারের এই বক্তব্যের আগে শনিবারই এক সংবাদ সম্মেলনে কড়া বক্তব্য দেন বিপিন রাওয়াত।
ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে যে কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে, তার জন্য এখনই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সময়। যথোপযুক্ত জবাব না দিলে তারা ক্ষতের কষ্ট বুঝতে পারবে না।’
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলোচনা তাহলে কি হবে না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিপিন রাওয়াত ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারের অবস্থান একদম স্পষ্ট; আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।’
ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের সূচনা হয় গত শুক্রবার কাশ্মীরে তিন ভারতীয় পুলিশের মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে। ভারতের দাবি, এই পুলিশ সদস্যদের পাকিস্তানের আশীর্বাদপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদীন হত্যা করেছে।
ওই তিন পুলিশের মরদেহ উদ্ধারের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন বার্ষিক সভার ফাঁকে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিলের ঘোষণা দেয় ভারত।
এদিকে বৈঠক বাতিলের ওই সিদ্ধান্তকে ভারতের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নেতিবাচক আচরণ উল্লেখ করে শনিবার এক টুইট করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ভারতকে ইঙ্গিত করে ওই টুইটে আরও বলেন, ‘আমি সারা জীবন দেখে আসছি, ছোট মনের মানুষগুলো বড় বড় অফিসে বসে থাকে, যাদের বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি নেই।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুষমা স্বরাজ ও মেহমুদ কুরেশির মধ্যকার ওই বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার। ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বন্ধ রয়েছে।