শীতের শুরুতেই ইউরোপজুড়ে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে। মধ্য ইউরোপের আল্পস থেকে শুরু করে আরও উত্তরে স্কটল্যান্ড পর্যন্ত এই তুষারপাত বিস্তৃত হয়েছে। তুষারপাতের ফলে ইউরোপের নানা দেশের জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
আল্পাইন পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুষারপাতের সতর্কতা জারি করেছে। সুইজারল্যান্ড ও পশ্চিম অস্ট্রিয়ার অনেক জায়গায় পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার তুষারপাত হয়েছে। জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রে তুষারপাতের কারণে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের মতো ঘটনা ঘটেছে।
সুইজারল্যান্ডে তুষার ও তুষারপাত গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, আল্পাইন পর্বতের উঁচু এলাকার গ্রাউবেন্ডেন ও ভ্যালাইসে অঞ্চলে আরও তুষারপাতের ঝুঁকি রয়েছে। অস্ট্রিয়ার টাইরল শহরের রাস্তাঘাট প্রবল তুষারপাতে বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারী তুষারপাতের ফলে চেক প্রজাতন্ত্রেও যানবাহন সমস্যা ও বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হয়েছে। দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে, ১৫ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ব্যক্তিদের মতে, ভারী তুষারে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে বিদ্যুৎ চলে যায়, তবে দ্রুত তা মেরামত করা হচ্ছে। গাছ পড়ে দেশটির বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ও বিঘ্নিত হয়েছে।
জার্মানিতেও প্রবল তুষারপাত হয়েছে। দেশটির উত্তর থেকে দক্ষিণ—সর্বত্র তুষারপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। উত্তরের ব্যাভেরিয়া রাজ্যে তুষারপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। গতকাল শনিবার বেশ কিছু শহরে জার্মান ফুটবল লিগ বা বুন্দেসলিগার খেলা তুষারপাতের কারণে স্থগিত করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় তুষারপাত কমে গেলেও কিছু এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ১০ পর্যন্ত নামতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে।
প্রবল তুষারপাতের কারণে স্কটিশ শহর গ্লাসগোর বিমানবন্দর সাময়িকভাবে তাদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস স্কটল্যান্ডের কিছু অংশের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের পুরো পূর্ব উপকূল এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে বরফ ও তুষার সতর্কতা জারি করেছে।