ডিমের জন্য মুরগিটি কিনেছিলেন কানাডার এক নাগরিক। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সেই মুরগি গড়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এটি সংখ্যা, রং ও অক্ষর দেখে তা শনাক্ত করতে পারে।
গ্যাব্রিওলা আইল্যান্ডের নাগরিক এমিলি ক্যারিংটন বলেন, ডিমের জন্য তিনি গত বছর হাইলিন প্রজাতির পাঁচটি মুরগি কিনেছিলেন। কেনার পরই তিনি এসব মুরগিকে চৌম্বকীয় অক্ষর ও সংখ্যা শনাক্ত করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।
ক্যারিংটন নানাইনো নিউজ বুলেটিনকে বলেন, ‘এগুলোর কাজ ছিল কেবল নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা ও অক্ষর ঠোকরানো, যেসব সংখ্যা ও শব্দ আমি তাদের ঠোকরাতে শিক্ষা দিচ্ছিলাম। অন্যগুলো এড়িয়ে যাওয়ারও শিক্ষা দিয়েছি। তাদের যেসব অক্ষর ঠোকরানোর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে আরও অক্ষর মিশিয়ে দেওয়া হলেও তারা কেবল পরিচিত অক্ষর ঠোকরাবে।’
ক্যারিংটন আরও বলেন, দেখা গেল, তারা কাজটি বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করছে। এরপরই তিনি তাদের দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করানোর পরিকল্পনা করেন। এক মিনিটে তারা কত বেশি সংখ্যা ও অক্ষর শনাক্ত করতে পারে, সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হলো।
এগুলোর মধ্যে লেসি নামের মুরগিটি সবার চেয়ে এগিয়ে গেল। সে এক মিনিটে ছয়টি অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করতে পেরেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লেসির জন্য আলাদা একটি ক্যাটাগরি তৈরি করল, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক মিনিটে মুরগির সর্বোচ্চ শনাক্তকরণ’।
ক্যারিংটন এসব মুরগির প্রশিক্ষণ ও এগুলোর কর্মকাণ্ডের ভিডিও আপলোড করতে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘দ্য থিংকিং চিকেন’। তিনি বলেন, লেসির বুদ্ধিমত্তা দেখে তিনি আনন্দিত।
ক্যারিংটন আরও বলেন, ‘প্রাণীদের মধ্যে মুরগিকে বোধ করি সবচেয়ে ছোট করে দেখা বা অবমূল্যায়ন করা হয়। আমার মনে হয়, আপনি সেই চিন্তা বাদ দিয়ে মুরগিকে যদি বুদ্ধিমান একটি প্রাণী হিসেবে ভাবতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আমরা যতটা চিন্তা করি, এগুলো তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।’