গাজায় ভাসমান বন্দর নির্মাণের আগে সেটি দেখতে কেমন হতে পারে, তা দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ভাসমান বন্দর নির্মাণের আগে সেটি দেখতে কেমন হতে পারে, তা দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

গাজা থেকে ৪ জিম্মি উদ্ধারে অস্থায়ী বন্দর ব্যবহার হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

অস্থায়ী বন্দর দিয়ে গতকাল শনিবার গাজায় ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই বন্দরটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এদিকে  গাজার মধ্যাঞ্চল থেকে গতকাল চারজন জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে তাঁদের উদ্ধারে ইসরায়েলি বাহিনী এই অস্থায়ী বন্দর কোনভাবেই ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার)  গতকাল এক পোস্টে বলা হয়, ইসরায়েলের চার জিম্মিকে উদ্ধার অভিযানে অস্থায়ী বন্দরের ‘কোনো সরঞ্জাম, সদস্য ও সম্পদ’ কোনো ধরনের ভূমিকা রাখেনি।

গত মাসে ওই বন্দর দিয়ে ২০ লাখ পাউন্ডের বেশি সমমূল্যের মানবিক ত্রাণ গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে এএফপি।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে ওই জিম্মিদের অস্থায়ী বন্দরের দক্ষিণ দিকের একটি এলাকা দিয়ে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়। ওই পোস্টে আরও বলা হয়,  ‘গাজায় বেশি জরুরি এবং জীবনরক্ষাকারী ত্রাণ ঢোকা সহজ করতেই অস্থায়ী ওই বন্দরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো অভিযোগই মিথ্যা।’

মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসছে আলমগ মেইর জান

সপ্তাহখানেক আগে ঝড় এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে অস্থায়ী বন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো কাছের একটি ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে গিয়ে মেরামত করা হয় এবং সেগুলো সংযুক্ত করে পুনরায় অস্থায়ী বন্দরটি সচল করা হয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় গাজার ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় দেশটিতে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত সাড়ে ৮৩ হাজারের বেশি।