বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৩০ জুন। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন মেহেদী হাসান।
শত বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের কাছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে এর অবস্থান। দুই দেশই তাদের নিজ নিজ অংশে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলেছে। সেগুলোয় দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকে। ১৮৫৯ সালের ৩০ জুন রশির ওপর হেঁটে বিখ্যাত এই জলপ্রপাত পাড়ি দেন অদম্য সাহসী ফরাসি চার্লস ব্লদি। এমনকি তিনি নিরাপত্তার জন্য কোনো জাল বা অন্য কিছু ব্যবহার না করেই রশির ওপর হেঁটে নায়াগ্রা পার হন।
লন্ডন শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় স্থাপনা টাওয়ার ব্রিজ। টেমস নদীর ওপর এই ব্রিজ যেন রাজকীয় লন্ডনের আভিজাত্যের আরেক প্রতীক। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে এই ব্রিজটি দেখানো হয়। এ ছাড়া লন্ডন শহরে বেড়াতে গিয়ে টেমস নদীর ধারে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ব্রিজটি দর্শন যেন অবশ্যকর্তব্য! ব্রিজটি ১৮৯৪ সালের ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৮৬ সালে।
মার্কিন নাগরিক রবার্ট হেনরি লরেন্স জুনিয়র। বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এই কৃষ্ণাঙ্গ। ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন বিমান বাহিনীর ‘ম্যান্ড অরবিটিং ল্যাবরেটরি’ প্রোগ্রামে যোগ দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনী গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এই প্রোগ্রামটি চালু করেছিল। এর মাধ্যমে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হিসেবে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখান হেনরি লরেন্স জুনিয়র।
মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপ্স। তাঁকে অলিম্পিকের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ বলা হয়। তাঁর থলিতে অলিম্পিকের ২৩টি স্বর্ণপদক রয়েছে। ১৯৮৫ সালের ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে জন্মগ্রহণ করেন সাঁতারু।