ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন রুখতে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াল যেসব দেশ

ইরানের হামলা শুরুর পর গতকাল শনিবার রাতে জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ওপরে রকেট উড়তে দেখা যায়
ছবি: এএফপি

ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে তারা। এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

গতকাল শনিবার রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে ইরান। এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলার জবাবে গতকালের হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।

গতকাল ইরানের হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের ছোড়া প্রায় সব কটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলা ঠেকিয়েছে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমানও। সিরিয়ায় থাকা যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ারফোর্সের জঙ্গি বিমান ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অনেকগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আজ বলেছেন, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে একটি ‘আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ জন্য ওই অঞ্চলে নতুন করে আরও বিমান পাঠিয়েছিল রয়েল এয়ারফোর্স।

ফ্রান্সও ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষায় কাজ করেছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জর্ডান বলেছে, ইরানের হামলার পর তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা ছিল এটি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েল লক্ষ্য করে ইরান তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলের আকাশসীমায় ঢোকার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার অবকাঠামোগুলোয় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।