গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় রাশিয়া, জাতিসংঘে প্রস্তাব

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় পরিবারের অনেক সদস্যকেই হারিয়েছেন এই ফিলিস্তিনি। বেঁচে থাকা দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ১২ অক্টোবর, গাজার রাফা শহরে
ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে মানবিক কারণে ‘যুদ্ধবিরতি’ দেখতে চায় রাশিয়া। এ জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। সেই সঙ্গে গাজায় সপ্তাহজুড়ে চলমান সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে মস্কো।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবের একটি কপি এএফপির কাছে এসেছে। এতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে খসড়া প্রস্তাবে বেসামরিক মানুষজনের ওপর সব ধরনের নৃশংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়েছে।

তবে রাশিয়ার খসড়া প্রস্তাবে হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চোখে হামাস একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’।

জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্তপাত বন্ধ এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে হবে।’ তিনি বলেন, খসড়া প্রস্তাবটির বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্যদেশ ইতিবাচব মনোভাব দেখিয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানো হয়। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০। প্রায় দেড় শ ইসরায়েলিকে আটক করেছে হামাস।

জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০০। এর মধ্যে ৬০০-এর বেশি শিশু। আহত হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৮ জন।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি।