ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে ফেলায় এখানে আরও ‘অনেক মানুষের মৃত্যু হবে’ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, গাজার মৌলিক পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়ছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেন, গাজার মানুষ মারা যাচ্ছে...শুধু বোমা হামলায়ই তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে না, গাজা উপত্যকার ওপর যে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, তার পরিণতি দ্রুতই অনেক মৃত্যু ডেকে আনবে। তিনি আরও বলেন, মৌলিক পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়ছে। ওষুধ, খাবার, পানি সব ফুরিয়ে আসছে। গাজার রাস্তঘাট নর্দমার পানিতে ভেসে যাচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেন, গাজার মানুষ মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা ক্রমবর্ধমান ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। গাজার বাইরে পশ্চিম তীরের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলছে, গাজায় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা না দেওয়া হলে কলেরা ও অন্যান্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর গাজায় পানি সরবরাহের লাইন কেটে দেয় এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ–সুবিধাও বন্ধ করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখনো অন্তত এক হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যারা এখনো মৃতের সংখ্যার তালিকায় যুক্ত হয়নি।
ফিলিস্তিনের দখল করা ভূখণ্ডের জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা কিছু হিসাব পেয়েছি, যেখানে দেখা গেছে, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এক হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছে।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।