ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় পানি, খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই যুদ্ধের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হলো—
মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় ঢুকেছে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক। এতে খাদ্য ও ওষুধ রয়েছে। গাজার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তাকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল সফর করেন। এরপর ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, মিসরের মধ্য দিয়ে গাজায় ২০ ট্রাক মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনের উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে মিসর।
ত্রাণসহায়তা পাঠানোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এসব ত্রাণ হামাস যোদ্ধাদের উপকারে আসতে পারে।
হামাসের গণমাধ্যম শাখা আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাকগুলোর মধ্যে ওষুধ, বিভিন্ন স্বাস্থ্যসামগ্রী ও সীমিত খাবার রয়েছে।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা বলছেন, এসব ত্রাণসহায়তা নিছক লোকদেখানো। এসব ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অন্তত ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা অবরুদ্ধ করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাসের হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল বলছে, হামাস ২১০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে।
মানবিক ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমের প্রস্তুতি দেখতে গতকাল শুক্রবার রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশ পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে সেখানে চরম মানবিক সংকট দেখা দেবে।