দুই দিন কয়েক ঘণ্টা গাজায় গোলাগুলি বন্ধ রাখার দাবি ইসরায়েলের

গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় ইসরায়েলি সেনা ও ট্যাংক, ৫ নভেম্বর
ছবি: এএফপি

গাজার উত্তরাঞ্চলে গত দুই দিন কয়েক ঘণ্টা করে গোলাগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। বেসামরিক নাগরিকেরা যেন নিরাপদে দক্ষিণে সরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

গতকাল রোববার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস এসব কথা বলেছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলো।

জোনাথন কনরিকাস বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ও আজ (রোববার) পূর্ব ঘোষণা ও সতর্কবার্তা দিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য গাজার উত্তরাঞ্চলে নির্দিষ্ট এলাকাগুলোয় আমরা গোলাগুলি বন্ধ রেখেছি। এটি মূল যুদ্ধক্ষেত্র। আমরা ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের লাগাম টানা নিয়ে এখনো বিপরীত মেরুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্ব। গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে আরব দেশগুলো। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান আব্বাস। তবে মানবিক সহায়তা সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিছু বলেননি ব্লিঙ্কেন।

আগের দিন জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আরব নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান আরব প্রতিনিধিরা। এ সময় ‘মানবিক বিরতির’ পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন শীর্ষ এ মার্কিন কূটনীতিক। তবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে পুনর্গঠিত হতে সাহায্য করবে।