ইসরায়েলি হামলা

গাজায় ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ

ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া ও চিলি।

শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের হামলার পর চলছে উদ্ধারকাজ। গাজার জাবালিয়া, ৩১ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের নিউইয়র্ক দপ্তরের পরিচালক ক্রেইগ মখিবার। তিনি বলছেন, গাজায় ‘গণহত্যার অকাট্য প্রমাণ’ রয়েছে।

গত সপ্তাহে দেওয়া পদত্যাগপত্রে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বেশির ভাগ সরকার এই নৃশংস হামলায় সম্পূর্ণভাবে জড়িত।’

ক্রেইগ বলেন, ‘জেনেভা কনভেনশনের প্রতি সম্মান নিশ্চিতে চুক্তির প্রতি তাঁদের বাধ্যবাধকতাগুলো মানতে এই সরকারগুলো কেবল অস্বীকারই করছে না, বরং তারা প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে হামলায় অস্ত্র সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের নৃশংসতা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে আড়াল করছে।’

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে, আমরা হত্যাযজ্ঞ প্রতিরোধের বাধ্যবাধকতা পূরণে আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি…আমরা আবারও ব্যর্থ হচ্ছি।’

এর আগে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জশ পল।

পদত্যাগপত্রে জশ পল লিখেন, ‘এক পক্ষের প্রতি অন্ধ সমর্থন থেকে বাইডেন প্রশাসন (প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী, ধ্বংসাত্মক ও অন্যায্য। আমরা প্রকাশ্যভাবে যে ধরনের মূল্যবোধের প্রতি সমর্থন দিই, এটা তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন বলিভিয়ার

গাজায় নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। মঙ্গলবার বলিভিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি ইসরায়েলের সমালোচনা করে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় দেশটি (ইসরায়েল) অসম শক্তিপ্রয়োগ করছে। এদিকে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে কলম্বিয়া ও চিলি।