ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ হামলা কবে, কখন শুরু হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেনি তারা।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সংঘাতের ‘পরবর্তী পর্যায়’ আসছে। তিনি ইসরায়েলি সেনাদের এ কথা বলেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আসন্ন অভিযানকে বিস্তৃত পরিসরের আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রয়োজনীয় যুদ্ধসরঞ্জাম ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানে পাঠানো হয়েছে। কৌশলগতভাবে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযানে বিপুলসংখ্যক রিজার্ভ সেনা অংশ নেবেন।
অভিযানটি যে ব্যাপক হবে, তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযানটি দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাদের একটি বড় ধরনের স্থল অভিযানের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতির ইঙ্গিত অনুযায়ী, গাজায় একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার সব বেসামরিক বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপত্যকার দক্ষিণে পালাতে নির্দেশ দেয়। এই এলাকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই নির্দেশের পর উত্তর গাজার হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাসের হামলায় ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।