ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

নেতানিয়াহুর ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন হাজারো ইসরায়েলি। হাবিমা স্কয়ার, তেল আবিব, ইসরায়েল। ৭ জানুয়ারি
ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকার যেসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তাতে ইসরায়েলের গণতন্ত্র ও গণমানুষের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। খবর আল–জাজিরার

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার তেল আবিবে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। ইসরায়েলের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী ও ধর্মীয়ভাবে সবচেয়ে রক্ষণশীল সরকার শপথ নেওয়ার এক দিন পর এ বিক্ষোভ শুরু হলো। নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণের সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিচার বিভাগের ক্ষমতা হ্রাসের মতো অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সরকারের নতুন এসব পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব কয়েক হাজার মানুষ এ বিক্ষোভ করছেন।

‘গণতন্ত্র হুমকির মুখে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এক হও’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে ‘আবাসন, জীবিকা, আশা’— এমন বার্তাও লেখা ছিল। বামপন্থীরা ও ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের ফিলিস্তিনি আইনপ্রণেতারা এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।  

বিক্ষোভকারীরা উগ্র ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত নতুন বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। কারণ, গত বুধবার ইয়ারিভ লেভিন সরকারের নতুন ও দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। নতুন এ নীতি প্রণয়ন করা হলে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

সমালোচকেরা অভিযোগ তুলেছেন, ইসরায়েলের এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি ডানপন্থী সরকার বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা এ–ও বলছেন, সরকারের এই পরিকল্পনায় দেশটির বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে। কারণ, এতে সর্বময় ক্ষমতা পাবে নতুন সরকার।

তেল আবিবের দক্ষিণে ইয়াভনে এলাকার বাসিন্দা ৭৭ বছর বয়সী ড্যানি সিমন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এই ব্যক্তি বলেন, ‘দেশ থেকে গণতন্ত্র নাই হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা। মাত্র একজন ব্যক্তির (নেতানিয়াহু) জন্য আমরা স্বৈরশাসন দেখতে যাচ্ছি। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চান তিনি।’