যথাযথ আইন মেনে ভবন নির্মাণ না করায় তুরস্কে ছয় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভবন নির্মাণে ত্রুটির থাকায় এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। শনিবার এ তথ্য জানান তুরস্কের আইনমন্ত্রী বেকির বজদাগ। খবর আল–জাজিরার
বেকির বজদাগ বলেন, ভবন নির্মাণে ত্রুটির সঙ্গে জড়িত থাকায় ইতিমধ্যে ৬১২ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ১৮৪ জন কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে ভবন নির্মাণের ঠিকাদার, মালিক ও ব্যবস্থাপকেরা রয়েছেন।
৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরস্কের ৪৪ হাজার ছাড়াও সিরিয়ায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ব্যাপক এই প্রাণহানির জন্য তুরস্কের বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি মেনে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার মেয়র ওক্কেস কাভাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভবনধসের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওক্কেস কাভাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তিনি এরদোয়ানের দলের একজন সদস্য।