স্থলপথে ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযান চালাতে গিয়ে প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের ওত পেতে থাকা যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়েছেন ইসরায়েলের একদল সেনা। হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। এ সময় ইসরায়েলের একটি ট্যাংক ধ্বংস করে দেওয়ারও দাবি করেছেন হামাস যোদ্ধারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গেলে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই সেনা নিহত হন। হামাস যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোগুলো গুঁড়িয়ে দিতে’ এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
এর আগে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস দাবি করেছে, হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে ইসরায়েলের ভেতরে পিছু হটিয়ে দিয়েছেন তাদের যোদ্ধারা। এ সময় একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, সীমান্ত অতিক্রম করে কয়েক মিটার এগোলেই ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া দলের সঙ্গে গোপন অবস্থান থেকে পূর্ণ প্রস্তুতিসহ তাদের যোদ্ধারা লড়াইয়ে জড়ান। অনুপ্রবেশকারী বাহিনীর সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে যোদ্ধারা লড়াই চালিয়েছেন। পরে নিরাপদে তাঁরা ঘাঁটিতে ফিরেছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সীমান্তবেড়া অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকতে গেলেই ওত পেতে থাকা হামাস যোদ্ধারা হামলা চালান। তাঁরা সরাসরি যোদ্ধাদের গুলির মুখে পড়েন। ইসরায়েলিদের জন্য এটা কঠিন হামলা ছিল।
এমন সময় সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন, যখন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান আসন্ন মনে করা হচ্ছে। স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে উত্তর গাজার অনেক বহুতল ভবন ইতিমধ্যে বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।