ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর পথ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি–৭। জাপানের রাজধানী টোকিওতে জোটভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সম্মেলন থেকে আজ বুধবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে টোকিওতে দুই দিনের এ সম্মেলন শেষে জোটের পক্ষে সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি। একই সঙ্গে জোটের পক্ষে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। জি–৭–এর সাত সদস্য দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও জাপান।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজায় মানবিক সংকটের দ্রুত অবনতির বিষয়টি সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। আমরা মানবিক দিক বিবেচনায় সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির পক্ষে। একই সঙ্গে (গাজায়) জরুরি ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো, বেসামরিক মানুষদের চলাচল ও (হামাসের কাছে) জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য একটি পথ (করিডর) তৈরি করার পক্ষে।’
জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টিতেও জোর দেন। তাঁরা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষায় ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। যাতে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বিবৃতিতে জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আরও বলেন, ‘আমরা ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন হামাসকে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার জন্য আর কোনো পদক্ষেপ না নেয়। একই সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর জন্য নিজেদের প্রভাব কাজে লাগায়।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এক মাসে গাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। গৃহহীন প্রায় ১৫ লাখ। ইসরায়েলি হামলা থেকে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বরাবর যুদ্ধবিরতির দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন।