গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে: হামাস

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল
ছবি: এএফপি

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ১২৮–এ দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসশাসিত সরকার গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলের বাহিনী।

হামাস সরকার বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০টি শিশু এবং ৩ হাজার ৯২০ নারী রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছে ৩৩ হাজার মানুষ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছিল, উপত্যকায় তীব্র লড়াই চলার কারণে ঠিকমতো মৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজ চালানো যাচ্ছে না। এ কারণে তারা এখন আর নিহত হওয়ার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছে না।

জাতিসংঘ গতকাল বলেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর হামলা ও গণহারে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি গাজায় জ্বালানি ঘাটতি, পানির অভাব ও নাজুক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে শোচনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল বলেছে, প্রতিদিন গাজা উপত্যকায় ১৬০টির মতো শিশু নিহত হচ্ছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ আশঙ্কা করছে, নিহত শিশুর সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, ‘গাজার শিশুরা যদি প্রয়োজনমতো পানি না পায় এবং সেখানকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা যদি সীমাবদ্ধ ও অপর্যাপ্ত হয়, তবে আমরা এমন এক মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে পড়ব, যা একেবারেই এড়ানো যাবে না। আর তা হলো শিশুদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাবে।’

জেমস এল্ডার আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে পান করা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং রান্নাবান্নার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ লিটার পানির প্রয়োজন। তবে গাজার কিছু জায়গায় একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন গড়ে তিন লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো দিন একেবারেই পানি পাওয়া যায় না।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজা উপত্যকার ২৪ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৭ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯ লাখ মানুষ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় অত্যন্ত গাদাগাদি করে থাকছে।