ইরানের ছোড়া অন্তত নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং ওই অঞ্চলে দেশটির মিত্রশক্তিগুলোর ছোড়া গুলি এড়িয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এতে সেখানে থাকা ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী উড়োজাহাজ, একটি রানওয়ে এবং একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে। তবে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল এবারই প্রথম অ্যারো-৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এই অ্যারো-৩ বিশেষত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়েছে।
এরপরও নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানাটা দেশটির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অ্যারো-৩ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া চলছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এই ব্যবস্থা সফল হওয়ার কথা বলছেন।
গত শনিবার রাতে ইরান থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়। এগুলোর ৯৯ শতাংশই আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ইরানের এই হামলায় নেভাটিম বিমানঘাঁটি ‘সামান্য’ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। এ ছাড়া ইরানের হামলায় একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
ইরান বলেছে, চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে প্রাণঘাতী হামলার বদলা হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তেহরান এটাও বলেছে যে ইসরায়েল যদি এর পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে আরও বড় পরিসরে হামলার মধ্য দিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে।