ইসরায়েলকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিকল্পনামতো গাজার রাফায় সর্বাত্মক অভিযান চালালে তা হামাসের জন্য কৌশলগত বিজয় এনে দিতে পারে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি গতকাল বৃহস্পতিবার এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
জন কারবি বলেন, ‘আমরা মনে করছি, রাফায় যেকোনো বড় ধরনের অভিযান প্রকৃতপক্ষে সমঝোতা আলোচনার টেবিলে হামাসের হাতকে শক্তিশালী করবে, ইসরায়েলের হাতকে নয়।’
ইসরায়েল রাফায় অভিযান চালালে দেশটিতে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো স্থগিত করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেওয়ার পরদিন জন কারবি এ অভিমত জানালেন।
এদিকে ফিলিস্তিনকে আরও ‘অধিকার ও সুবিধা’ দেওয়ার সুপারিশ–সংবলিত একটি প্রস্তাবে আজ শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট হতে পারে। ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্যদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
এর আগে গত এপ্রিলে এ ধরনের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবেও ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার পথ তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ফিলিস্তিন দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং ইসরায়েল তা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড গতকাল স্পষ্ট করেছেন, সাধারণ পরিষদে যে প্রস্তাব তোলা হচ্ছে, সেটিতে আপত্তি রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের।
হামাস ও ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়, তাহলে দুই পক্ষকে অবশ্যই আরও নমনীয়তা দেখাতে হবে বলে উল্লেখ করেছে মিসর। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসা মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরির ফোনালাপেও একই অভিমত উঠে এসেছে।
আজ ভোরে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধিদল কায়রো থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
অপর দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল প্রয়োজনে একা দাঁড়াবে এবং সামর্থ্যের শেষটুকু দিয়ে লড়াই করে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অস্ত্রের চালান বন্ধের সতর্কবার্তার জবাবে এ কথা বলেন তিনি।