ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পাশাপাশি সর্বাত্মক অবরোধের কারণে সৃষ্ট জ্বালানিসংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সেখানকার বেশির ভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রই বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানিসংকটে এখন একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
জ্বালানির অভাবে ৩ নভেম্বর থেকে গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা এবং ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের মূল জেনারেটর বন্ধ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের বিকল্প জেনারেটরের আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি আছে বলে চিকিৎসকেরা গতকাল মঙ্গলবার সতর্ক করেছেন।
গাজার অন্যতম হাসপাতাল আল-কুদস ও আল-আওয়াদার জ্বালানিও শেষের পথে। যেকোনো মুহূর্তে হাসপাতাল দুটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি হামলা ও জ্বালানিসংকটে ইতিমধ্যে গাজার ৩৫টি হাসপাতালের ১৬টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় বাকি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমও এখন বন্ধ হওয়ার পথে।
ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল-কাহলোত বলেন, হাসপাতালের মূল জেনারেটর ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প জেনারেটরের আর ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
তীব্র জ্বালানিসংকটের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে কোনো রকম কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে একাধিক হাসপাতাল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার আল-শিফা হাসপাতালের সৌরচুল্লিতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। অ্যানেসথেসিয়া (চেতনানাশক) ছাড়াই প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। গাজায় দিনে গড়ে ১৮০ জন নারী সন্তান জন্ম দেন।