ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের সাবেক এজেন্ট গোনেন বেন ইৎঝাক বলেছেন, ‘বাইডেন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক...এবং নেতানিয়াহু তাঁর মুখে থুতু ছিটিয়েছেন। তিনি (নেতানিয়াহু) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধ্বংস করছেন।’
৫৩ বছর বয়সী বেন ইৎঝাকের বাড়ি ইসরায়েলের মোডিইন শহরে। সেখান থেকে তিনি এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলের জন্য নেতানিয়াহু সত্যই সবচেয়ে বড় হুমকি।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের সাবেক এজেন্ট ছিলেন বেন ইৎঝাক। দখলকৃত পশ্চিম তীরে হামলা ঠেকাতে ইৎঝাক হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা শেখ হাসান ইউসেফের ছেলে মোসাব হাসান ইউসেফকে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগিয়েছিলেন। এখন বেন ইৎঝাক নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন।
তেল আবিবের একটি ওভারপাসে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে ইৎঝাককে।
এএফপিকে ইৎঝাক বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় আমি কয়েকজন বড় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি একজন সন্ত্রাসী কেমন হয়। আমার মনে হয়, নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।’ ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের ফিলিস্তিনের আন্দোলনকে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা বলেছেন ইৎঝাক।
গাজা নিয়ে হিসাব–নিকাশ বদলানোর এখনই সময় বলে মনে করেন ইৎঝাক। গাজার ক্ষমতায় মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে আনতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের আহ্বান জানান তিনি। বেন ইৎঝাক আরও বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে বলতে চাই...পদত্যাগ করুন। ইসরায়েলবাসীর জন্য এটা আপনার সবচেয়ে বড় সহযোগিতা হবে।’
বেন ইৎঝাক মনে করেন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব ছিল। ইউসেফ হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল বলেও জানান ইৎঝাক। তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ওই সতর্কতাকে গুরুত্ব দেয়নি।
এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে বেন ইৎঝাক বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের শত্রুরা বোকা। কিন্তু দিনশেষে হামাস খুবই বুদ্ধিমান ছিল।’
১৯৯০ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন বেন ইৎঝাক।