পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থীশিবিরে অভিযানের সময় একটি সড়ক আটকে রাখে ইসরায়েলি বাহিনী
পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থীশিবিরে অভিযানের সময় একটি সড়ক আটকে রাখে ইসরায়েলি বাহিনী

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ১০

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার তুলকারেম ও বালাতা শরণার্থীশিবিরে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় তুলকারেম শরণার্থীশিবিরের ভেতর পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে শিবিরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি সেনা জায়গাটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। আকাশে চক্কর দিচ্ছে যুদ্ধবিমান।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিমান হামলার খবর নিশ্চিত করে বলেছে, তুলকারেমে অভিযানের সময় এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত’ হয়েছে বলে দাবি তাদের।

নাবলুস শহরের পূর্ব দিকে বালাতা শরণার্থীশিবিরের কাছে আলাদা হামলায় আল আকসা মার্টায়ারস ব্রিগেডসের পাঁচ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এটি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ দলের সশস্ত্র শাখা।

গোষ্ঠীটি বলেছে, হামলায় আবদুল্লাহ আবু শালালও নিহত হয়েছেন। গত বছরজুড়ে ‘কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার’ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শালালকে দায়ী করে থাকে।

১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনারা প্রায়ই ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালান।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও উত্তেজনা বেড়েছে। সেখানে সহিংসতার মাত্রা এত তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা দ্বিতীয় ইন্তিফাদা (২০০০-০৫) পরবর্তী সর্বোচ্চ।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে ৩৬৫ জন নিহত হয়েছেন।