গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক, ৭ আগস্ট
গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক, ৭ আগস্ট

১৫ আগস্ট ইসরায়েল ও হামাসকে আলোচনায় বসার তাগিদ তিন দেশের

আগামী ১৫ আগস্ট আলোচনায় বসার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি চূড়ান্ত করতে এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। বিবৃতিতে তারা বলেছে, দোহা কিংবা কায়রোতে এ আলোচনা হতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির একটি রূপরেখা এখন আলোচনার টেবিলে আছে। এখন এর বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়গুলোর বিস্তারিত নির্ধারণ করার বাকি আছে। নষ্ট করার মতো সময় নেই। দেরির বিষয়ে কোনো দলের পক্ষ থেকে অজুহাত দেওয়ারও সুযোগ নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি আলোচনাকারীরা সেখানে থাকবেন। তাঁদের লক্ষ্য হলো, চুক্তির বিস্তারিত রূপরেখা চূড়ান্ত করা ও বাস্তবায়ন করা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তিন দেশের পক্ষ থেকে এমন সময়ে বিবৃতিটি দেওয়া হলো, যখন কিনা হামাস ও হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যাকে কেন্দ্র করে ইরান প্রতিশোধ নিতে হামলা চালাবে এবং অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কোনো আশা নেই। কারণ, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সুরাহা করতে সময় লাগবে। আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষকেই সক্রিয় থাকতে হবে।

ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইরানকে উদ্দেশ করে এ বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চুক্তি হওয়ার আশাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ইরান মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা চায় দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।

সেগুলো হলো, গাজা উপত্যকায় টেকসই যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা এবং ভূখণ্ডটি থেকে দখলদারদের প্রত্যাহার করা।

এ ছাড়া গত ৩১ জুলাই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সাজাও নিশ্চিত করতে চায় ইরান।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।