ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ মুস্তাফাকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
মুস্তাফা দীর্ঘদিন ধরে আব্বাসের অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আব্বাসের বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মুস্তাফা।
গত মাসের শেষ দিকে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মোহাম্মদ শাতায়েহ। তিনি তাঁর সরকারেরও পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা, সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারে পরিবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন শাতায়েহ।
শাতায়েহর পদত্যাগের তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হলো।
৬৯ বছর বয়সী মুস্তাফাকে এখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য একটি নতুন সরকার গঠনের কাজ করতে হতে হবে। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে এই সরকারের ক্ষমতা সীমিত রয়েছে। অন্যদিকে, গাজা শাসন করছে হামাস।
মুস্তাফা যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। তিনি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির একজন স্বাধীন সদস্য। পিএলওতে ক্ষমতাসীন ফাতাহর আধিপত্য রয়েছে।
মুস্তাফা উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ডের চেয়ারম্যান। বিশ্বব্যাংকের একাধিক উচ্চ পদে কাজ করেছেন তিনি।
কুয়েত সরকার ও সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডকে পরামর্শ দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে মুস্তাফার। ২০১৪ সালে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গাজার পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় তিনি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুস্তাফার নিয়োগকে গতকাল স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।