ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা এখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার গাজা নগরীর কেন্দ্রস্থলে আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়োভ গ্যালান্ট এ কথা বলেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল, বিমান, নৌসেনাদের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে গাজা নগরীতে হানা দিয়েছে বলে জানান ইয়োভ গ্যালান্ট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরে গাজা নগরীর অবস্থান। গাজা নগরী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা গাজা নগরী ঘেরাও করছেন। তাঁরা গাজা নগরীর ভেতরে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। তিনি বেসামরিক লোকজনকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহু গত সোমবার বলেছিলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। গতকাল নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দেন তাঁর মন্ত্রিসভার এক সদস্য।
ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ের মন্ত্রী রন ডার্মার বলেন, নেতানিয়াহু বলতে চেয়েছেন, গাজা উপত্যকাকে একটি নিরস্ত্রীকরণ এলাকা হিসেবে বহাল রাখার বিষয়টি ইসরায়েল নিশ্চিত করবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেখানে ‘নতুন কোনো সন্ত্রাসী হুমকির’ বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। তবে এলাকাটি পুনর্দখল বা শাসন করবে না ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েল বলছে, এ হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তারা গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি শিশু রয়েছে।