সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। যদিও এর আগে গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সিরিয়াজুড়ে বাশার আল-আসাদের পতন উদ্যাপনের এক দিন পর এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো।
ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ তবে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ কীভাবে হলো, তা সুনির্দিষ্ট করেননি তিনি।
সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা ব্লিঙ্কেন এমন সময় জানালেন, যখন প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে দূতাবাস চালু করেছে তুরস্ক।
সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তুরস্ক। দেশটি সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে এবং সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করে। পাশাপাশি এইচটিএসের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক বজায় রাখে। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বাশার আল–আসাদকে উৎখাতের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
সিরিয়া নিয়ে এই আঞ্চলিক সফরে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, জর্ডানের আকাবায় অনুষ্ঠিত সংলাপে দামেস্কে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।
এ সময় জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ একটি মুক্ত, নিরাপদ, স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ভেঙে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এটি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে সিরিয়ার জনগণের জন্য সম্ভবত একটি নতুন সুযোগ তৈরি হবে।’