ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে থাকা আরও সাত ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় এসব জিম্মি মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার হামাস এ কথা বলেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার পর ওই ব্যক্তিদের জিম্মি করেছিল হামাস। ওই দিন থেকেই গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর আমরা এটা নিশ্চিত হয়েছি যে জায়নবাদীদের (ইসরায়েলি বাহিনী) বোমা হামলায় গাজা উপত্যকায় আমাদের কয়েকজন মুজাহিদিন শহীদ হয়েছেন। সেই সঙ্গে শত্রুপক্ষের সাত বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।’
৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় আড়াই শ মানুষকে জিম্মি করেছিল হামাস। তাঁদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও বিদেশি নাগরিকেরা ছিলেন। ওই হামলায় ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় কয়েক মাসের ইসরায়েলি হামলায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
হামাসের গতকালের বিবৃতির আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ৩১ জিম্মির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছয়জন ইসরায়েলি সেনা। তবে গতকালের বিবৃতিতে হামাস বলেছে, মারা যাওয়া জিম্মির সংখ্যা ৭০ ছাড়াতে পারে। যদিও এএফপির পক্ষ থেকে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছিল ইসরায়েল ও হামাস। ওই সময় যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা বেশ কিছু ফিলিস্তিনি মুক্তি পান। এখন গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা।