ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। উত্তর গাজা, ১ নভেম্বর ২০২৩
ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। উত্তর গাজা, ১ নভেম্বর ২০২৩

মার্কিন গণমাধ্যমের খবর

জিম্মি মুক্তির শর্তে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলের

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে কাতার ও মিসরের মাধ্যমে হামাসকে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। অনলাইনভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি কয়েক ধাপে কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে নারী, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্ত করা হবে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল থেকে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকেও মুক্তি দেওয়া হবে। তবে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সবাইকে নয়।

প্রস্তাবে যুদ্ধ শেষ করার কোনো অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ নেই। তবে গাজার প্রধান শহরগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে এবং হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে তাঁদের বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

চুক্তিটি বাস্তবায়নে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে ওই কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এমন সময়ে এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তারে কথা সামনে এল, যখন হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সমন্বয়কারী ব্রেট ম্যাকগার্ক মিসর ও কাতারে যাচ্ছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে তারা। ইসরায়েল বলছে, এখনো প্রায় ১৩২ জন হাসাসের হাতে জিম্মি রয়েছে।

ইসরায়েলি তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি জানিয়েছে, জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন। এসব মরদেহও হামাসের কাছে রয়েছে।