লেবাননে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সোমবার হিজবুল্লাহর প্রায় ৩০০ অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৩৫ শিশুসহ ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সহস্রাধিক মানুষ। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের এ তথ্য দিয়েছে।
হিজবুল্লাহ সক্রিয় রয়েছে, এমন এলাকা থেকে লেবাননের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে।
কয়েক দিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এরই মধ্যে সোমবার ভোর থেকে আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। জবাবে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ৩০টির মতো রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
সোমবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘আমরা লেবাননে আমাদের হামলা তীব্রতর করেছি। দক্ষিণ ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাঁদের বাড়িঘরে পাঠানোর লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত থাকবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচেই আদরেই বলেছেন, হিজবুল্লাহর তিন শতাধিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে লেবাননের এসব বাসাবাড়িতে বিমান হামলার বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল। এসব বাসাবাড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের এ হামলার জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক চৌকিতে রকেট হামলার কথা জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বেকা ও বালবেক অঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ শিশু ও ৪২ জন নারী রয়েছে। এছাড়া হামলায় এক হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপট রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঠেকাতে সামর্থ্যের মধ্যে সবকিছু করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।