কাশেম সোলাইমানি খুন হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকীতে তাঁর সমাধিস্থলের পাশে জমায়েতে এ হামলা হয়
কাশেম সোলাইমানি খুন হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকীতে তাঁর সমাধিস্থলের পাশে জমায়েতে এ হামলা হয়

ইরানে কাশেম সোলাইমানির সমাধির পাশে জোড়া বোমা হামলায় নিহত ৭৩

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। কাশেম সোলাইমানি খুন হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকীতে তাঁর সমাধির পাশে বোমা হামলার এ ঘটনা ঘটল।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেরমানে অবস্থিত সাহেব আল–জামান মসজিদে জমায়েত মানুষের ওপর এ হামলা হয়েছে। এতে ১৭৩ জন আহত হয়েছেন।

কেরমান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নরকে উদ্ধৃত করে আইআরআইবি একে একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করছে। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও অনলাইন মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর মসজিদের আশপাশের সড়কে অসংখ্য ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার শত শত মানুষ হেঁটে হেঁটে তাঁর সমাধিস্থলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাশেম সোলাইমানি।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি’ মনে করা হতো কাশেম সোলাইমানিকে।

আইআরজিসির কমান্ডার হিসেবে বহির্বিশ্বে বাহিনীটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কুদস ফোর্সের দেখভাল করতেন সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূরাজনৈতিক কৌশল তৈরির নেপথ্য কারিগর হওয়ায় তাঁকে তেহরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতির স্থপতি হিসেবে মনে করা হতো।

কাশেম সোলাইমানিকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির জন্য হুমকি মনে করত ওয়াশিংটন। ২০২০ সালে সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশেম সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন ট্রাম্প।