ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়া হয়নি, হবেও না: ইরান

ইউক্রেনে ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইরান সরকার বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তারা রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। গত শুক্রবার পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর সিএনএনের।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করে আসছে, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলার জন্য ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। শুক্রবার পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ফোনালাপে কী কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইরান সরকার। বিবৃতি অনুযায়ী, আবদুল্লাহিয়ান ফোনালাপে আবারও জোরালো কণ্ঠে বলে দিয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তেহরান অস্ত্র সরবরাহ করেনি এবং করবেও না।

আবদুল্লাহিয়ান পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সংঘাতে লিপ্ত যেকোনো পক্ষকে অস্ত্র দেওয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। সুতরাং ইউক্রেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া কিংবা ইয়েমেন-কোথাও যুদ্ধ অবিরত থাকুক, তা আমরা চাইনি এবং চাই না।’

পর্তুগিজ সরকারও আলাদা করে ফোনালাপের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জো ও গোমেজ ক্রাভিনহো।

রাশিয়ার কাছে যেন এ ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে ইরান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় কিয়েভ, ভিনিৎসিয়া, ওদেসা, জাপোরিঝঝিয়া এবং অন্য শহরগুলোয় হামলায় রাশিয়া ইরানের সরবরাহ করা কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সহায়তা জোরদারের আবেদনও জানিয়েছে দেশটি। ইউক্রেনীয়রা নিজেরাই রুশ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ক্ষেত্রে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে।