চলমান সংঘাতের মধ্যে গাজা কিংবা ইসরায়েলে মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা বা ইচ্ছা কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের নেই। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ কথা জানিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, এ সময় গাজা কিংবা ইসরায়েলে স্থলসেনা পাঠানোর ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না।
তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে ইসরায়েলকে পরামর্শ, উপকরণ ও কূটনৈতিক সহায়তা ওয়াশিংটন দিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেন কমলা হ্যারিস।
ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই—এ কথা উল্লেখ করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘একইভাবে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সমান মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, যুদ্ধের নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত যেন ছড়িয়ে না পড়ে—যুক্তরাষ্ট্র সেটাই চায় বলে জানান কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে এ সংঘাতে ইরানের জড়িত হয়ে পড়াও দেখতে চায় না ওয়াশিংটন।
ইসরায়েল ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গতকাল রোববার পর্যন্ত ৮ হাজার ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় এক হাজার মরদেহ পড়ে আছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা। এ ছাড়া নিজেদের বন্দীদের মুক্ত করে আনতে দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছেন হামাস যোদ্ধারা। জিম্মিদের বেশ কয়েকজন পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নাগরিক।