গাজায় ফিরে নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বক্তব্য দেন আল-শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। পাশে ছিলেন মুক্ত হওয়া অন্য বন্দীরা। খান ইউনিস, গাজা উপত্যকা
গাজায় ফিরে নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বক্তব্য দেন আল-শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। পাশে ছিলেন মুক্ত হওয়া অন্য বন্দীরা। খান ইউনিস, গাজা উপত্যকা

আল-শিফার পরিচালককে জিম্মিদশা থেকে ছাড়ল ইসরায়েল

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল–শিফার পরিচালককে সাত মাস পর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বেশ কিছু ফিলিস্তিনি জিম্মিকে আজ সোমবার ছেড়ে দেয় ইসরায়েল। তাদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে তাঁদের অবরুদ্ধ গাজায় ফেরত পাঠানো হয়।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আল–শিফা হাসপাতালের প্রধান মোহাম্মদ আবু সালমিয়াকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি গাজা উপত্যকার একটি মেডিকেল সূত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত নভেম্বরে তাঁকে আটক করা হয়।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে দেশটি গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। এতে আল-শিফা হাসপাতালটি প্রায় ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়।
দেইর এল-বালাহ শহরের আল–আকসা হাসপাতালের একটি সূত্র এএফপিকে বলে, সালামিয়াসহ মুক্ত হওয়া অন্য ব্যক্তিরা খান ইউনিস শহরের পূর্ব দিক দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে আল-আকসা হাসপাতালে ও অন্যদের খান ইউনিসের অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দেইর এল-বালাহতে থাকা এএফপির একজন প্রতিনিধি দেখেছেন, ছাড়া পেয়ে বন্দীরা পরিবারের কাছে ফিরে এলে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস সামরিক অভিযানের মুখে গাজার হাসপাতাল ও অবকাঠামোগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।

গত মে মাসে ফিলিস্তিনি অধিকার সংগঠনগুলো বলেছিল, আটক অবস্থায় আল-শিফা হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ সার্জন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের হামলার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয়।

ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি জানায়, এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।