ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি পোস্ট অফিসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক দিনে অন্তত ৬৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি পোস্ট অফিসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলার জেরে উদ্বাস্তু হওয়া পরিবারগুলো ওই পোস্ট অফিসে আশ্রয় নিয়েছিল। হামলায় পাশের কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় গাজা উপত্যকায় আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থীশিবির স্থাপন করা হয়েছে। এরই একটি নুসেইরাত শরণার্থীশিবির। বর্তমানে ব্যাপক জনবহুল এ শিবিরে পুরো গাজায় উদ্বাস্তু হওয়া পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে।
গতকাল দিনের শুরুতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস ও গাজায় কর্মরত চিকিৎসাকর্মীরা জানান, নিহত ব্যক্তিরা মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো পাহারা দেওয়ার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তিরা হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। মানবিক সহায়তা সরবরাহে লুটের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজাবাসীর জন্য আনা মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলোর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত অন্তত ৭০০ জন ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল মানবিক সহায়তা লুটপাট হওয়া ঠেকানোর কথা বারবার বললেও এসব হামলার মধ্য দিয়ে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা পাওয়া ঠেকাতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল গাজা নগরীর কেন্দ্রস্থলের বেশ কিছু এলাকা খালি করে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বলা হয়েছে, এসব এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় এলাকা খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।