কাতারের সড়ক
কাতারের সড়ক

কাতার বিশ্বকাপে পর্যটকদের সেবা দেবেন ৮০০০ বাংলাদেশি চালক

কাতারের দোহায় বিশ্বকাপ ফুটবল সামনে রেখে বাংলাদেশি গাড়িচালকদের ভাষাগত দক্ষতা ও আদবকেতাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সম্প্রতি তিন সপ্তাহের এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০ নভেম্বর কাতারের দোহায় শুরু হতে যাচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২। এক মাস ধরে চলবে এ ফুটবল আসর। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফুটবল ভক্তদের কাতারে স্বাগত জানাতে যেসব কর্মী নিযুক্ত থাকবেন, তাঁদের মধ্যে গাড়িচালকেরাও আছেন। বিভিন্ন ট্যাক্সি কোম্পানি ও রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে কর্মরত গাড়িচালকদের মধ্যে প্রায় আট হাজার বাংলাদেশি আছেন।

এমন অবস্থায় দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সম্প্রতি বাংলাদেশি চালকদের আদবকেতার উন্নয়ন ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানো হয়েছে। কাতারের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষকেরা ১৫টি পরিবহন কোম্পানিতে কর্মরত ৪২০ জন অংশগ্রহণকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। যাঁরা সশরীর উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁদের জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল।
দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান আরব নিউজকে বলেন, ‘আমাদের চালকেরা যদি পর্যটকদের ভালো সেবা দিতে পারেন, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্যও ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং হবে।’

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী চালকদের একজন আবদুল মোতালেব। প্রায় এক দশক ধরে কাতারে কাজ করছেন তিনি। মোতালেব বলেন, ‘যাত্রীদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে, তা নিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যাত্রীদের কোন ভাষায় অভ্যর্থনা জানাতে হবে, তা নিয়ে আমাদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটা যে কতটা সহায়ক হয়েছে, তা আমি বলে প্রকাশ করতে পারব না।’

সাইদুল ইসলাম নামের আরেক চালক বলেন, প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর জড়তা কাটাতে পেরেছেন। বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে জড়তা দূর হয়েছে।
সাইদুল বলেন, ‘আগে আমি ইংরেজিতে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতাম। প্রশিক্ষণের পর কাজটি সহজ হয়ে গেছে।’

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। ভবিষ্যতে অন্য খাতে কর্মরত বাংলাদেশিদেরও এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।