হামাসের পক্ষে কথা বলায় গ্রেপ্তার ইসরায়েলি শিক্ষক

হামাসের পক্ষে কথা বলায় গ্রেপ্তার ইসরায়েলি শিক্ষক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষে কথা বলায় ইসরায়েলে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই শিক্ষক পেতাহ টিকভা এলাকার একটি বিদ্যালয়ে ইতিহাস ও পৌরনীতি পড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলার সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, আজ সোমবার পর্যন্ত তাঁর পুলিশি হেফাজতে থাকার কথা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই শিক্ষক লিখেছিলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারীদের ধর্ষণ করেনি? তারা ১৯৪৮ সাল থেকে আছে, কিন্তু এসব ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে লেখা হয় না।’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে ওই শিক্ষকের অন্য সহকর্মীরা রয়েছেন।

ইসরায়েলের অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, অভিযোগ ওঠার পর ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই শিক্ষক সম্পর্কে পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তিনি ইতিহাসের শিক্ষক। ইসরায়েলের একটি স্কুলে শিশুদের পড়ান। কিন্তু যুদ্ধের সময় শত্রুদের সাহায্য করেন, শত্রুর হামলাকে বৈধতা দেন, আমাদের ইতিহাস বিকৃত করেন, ইসরায়েলের পাইলটদের খুনি বলেন। আমরা তাঁর পুরো ব্যাপারটি নিয়ে তদন্ত করছি।’

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর ভাষ্য, ওই শিক্ষক এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাদের ‘শিশু হত্যাকারী’ বলেও অভিহিত করেছিলেন। তিনি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে যোগ না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনার পর শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলো বলছে, পুলিশ এ পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্তত ৪৮টি অভিযোগ এনেছে। এ ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতসম্পর্কিত তাঁর দেওয়া ৩৮১টি বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে তদন্ত করছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলের বাহিনী। হামলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই শিশু ও নারী।