আজারবাইজানের সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (মাঝে)। ১৯ মে, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে
আজারবাইজানের সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (মাঝে)। ১৯ মে, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে

আমাদের হাত নেই: রাইসির মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তা

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর দেশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এর সঙ্গে জড়িত নই।’

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় সৌদি আরব, তুরস্ক, রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ শোক প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাইসিসহ ইরানের অন্যান্য কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

তবে ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা এম কে আভিগদর লিবারম্যান বলেন, রাইসির মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে, ইসরায়েল এমনটা আশা করে না।

আভিগদর লিবারম্যান ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের জন্য এটি (রাইসির মৃত্যু) কোনো বিষয় নয়। এ ঘটনা ইরানের প্রতি ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা (আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি) দেশটির নীতি নির্ধারণ করেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট যে নিষ্ঠুর লোক ছিলেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা তাঁর জন্য একফোঁটা অশ্রুও ফেলব না।’

গতকাল রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। রাতভর উদ্ধার অভিযান শেষে আজ রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ইরান।