গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের তুলনা করা হচ্ছে। এটা বাস্তবতার বিকৃতি।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার তিনি এ ঘোষণা দেন। বলা হয়, ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর ধারাবাহিকতায় গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ আবেদন করা হয়েছে।
হামাস নেতা সিনওয়ারের প্রতি ইঙ্গিত করে গতকাল হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ক্ষোভ জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি যাঁকে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার সঙ্গে ‘গণতান্ত্রিক ইসরায়েলের’ তুলনা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এ আবেদনকে ‘একটি অযৌক্তিক ও মিথ্যা আদেশ’ বলে সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েল ও হামাসের তুলনায় বিষয়টিকে তিনি ‘বাস্তবতার বিকৃতি’ বলেছেন।
নেতানিয়াহুর এমন ক্ষোভ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। গতকাল বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাস কোনোভাবেই সমতুল্য হতে পারে না।
এর আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করে করিম খান বলেছেন, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালন্টের গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায় রয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।
সেই সঙ্গে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার যুদ্ধাপরাধে জড়িত উল্লেখ করে তাঁর নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও নাম আছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাসের আরও দুই নেতা—সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি; যিনি মোহাম্মদ দেইফ নামেই বেশি পরিচিত এবং হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার।
ইসরায়েল ও তার প্রধানতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র—কেউই ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আইসিসির সদস্য নয়।