লেবাননের বৈরুতের প্রাণকেন্দ্রে আজ সোমবার ইসরায়েলের হামলায় একটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। দ্য পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিইএলপি) নামের সংগঠনটি এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গত বছর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি বৈরুত শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়া প্রথম ইসরায়েলি হামলা।
ফিলিস্তিনি সংগঠন পিইএলপি একটি ধর্মনিরপেক্ষ বামপন্থী গোষ্ঠী। হিজবুল্লাহর সঙ্গে একজোট হয়ে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
এক বিবৃতিতে পিইএলপি বলেছে, বৈরুতের কোলা এলাকায় হামলার ঘটনায় তাদের সামরিক নিরাপত্তাপ্রধান মোহাম্মদ আবদেল-আল, সামরিক কমান্ডার ইমাদ ওদেহ ও আবদেল রহমান আবদেল-আল নিহত হয়েছেন।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, দেশটির ইসলামি সংগঠন জামা ইসলামিয়ার সদস্যদের মালিকানাধীন একটি ভবনে ওই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় মোট চারজন নিহত হন।
টেলিভিশন ফুটেজে কোলার সুন্নি–অধ্যুষিত এলাকায় হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া ভবনটির আংশিক বিধ্বস্ত মেঝে দেখা গেছে।
এএফপির সংবাদকর্মীরা বলেছেন, গতকাল রোববার সারাক্ষণই লেবাননের আকাশে ড্রোন ওড়ার শব্দ শোনা গেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় বিভিন্ন সময়ে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।
১৯৬০ সালে জামা ইসলামিয়া নামের সংগঠনটি গড়ে ওঠে। হামাসের মতো এটিরও উৎপত্তি মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার পর থেকে কয়েকবারই এটি ইসরায়েলি হামলার সম্মুখীন হয়েছে।
গতকাল লেবাননজুড়ে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। এসব হামলায় কমপক্ষে ১০৫ জন নিহত হন। ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার দুই দিন পর এসব হামলা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলাকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আর তখন থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাদের ওপর কম মাত্রার আন্তসীমান্ত হামলা চালিয়ে আসছিল। প্রায় এক বছর পর নিজেদের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইকে গুরুত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।