নেদারল্যান্ডসে হামলার মুখে পড়া ইসরায়েলি ফুটবল–সমর্থকেরা দেশে ফেরায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া মানুষেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন
নেদারল্যান্ডসে হামলার মুখে পড়া ইসরায়েলি ফুটবল–সমর্থকেরা দেশে ফেরায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া মানুষেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন

ঘরে ফিরলেন ইসরায়েলি ফুটবল–সমর্থকেরা, সহিংসতা ঠেকাতে মোসাদকে নেতানিয়াহুর নির্দেশনা

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে হামলার শিকার হওয়ার পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন ইসরায়েলি ফুটবল–সমর্থকেরা। গতকাল শুক্রবার একটি উড়োজাহাজ আমস্টারডাম থেকে তাঁদের নিয়ে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আমস্টারডামে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লীগের একটি খেলা শেষে ইসরায়েলি সমর্থকেদের ওপর হামলা হয়। এই হামলাকে ইহুদীবিরোধী উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের কর্মকর্তারা।

নেদারল্যান্ডসের পুলিশ বলেছে, সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে ক্রীড়া অনুষ্ঠানগুলোয় এ ধরনের সহিংসতা রোধে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে একটি পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েলি বিমান সংস্থা ইএল এএল বলেছে, হামলার শিকার ইসরায়েলি ফুটবল–ভক্তদের দেশে ফিরিয়ে নিতে তারা ছয়টি উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল। ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আমস্টারডাম থেকে ইসরায়েলি ফুটবল–সমর্থকদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি গতকাল বিকেলে ইসরায়েলের মাটিতে অবতরণ করে।

রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, আমস্টারডামের জোহান ক্রুইফ এরিনাতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ফুটবল ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিব ও অ্যাজাক্স আমস্টারডামের মধ্যে ইউরোপা লিগের খেলা ছিল। এই ম্যাচে ইহুদি ক্লাব হিসেবে পরিচিত অ্যাজাক্স আমস্টারডাম ৫-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় সংঘাত শুরু হয়।

আমস্টারডামের মেয়র ফেমকে হালসেমা বলেন, ‘হিংসাত্মক ইহুদীবিরোধী দাঙ্গাবাজদের কারণে শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা খুঁজে খুঁজে ইসরায়েলি ফুটবল ক্লাব মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকেদের ওপর হামলা চালায়।’ এমন সহিংসতা মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলায় আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের পুলিশপ্রধান পিয়ার হোলা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীরা হঠাৎ আক্রমণ করে সটকে পড়ার কৌশল নিয়েছিল। ফলে এসব হামলা ঠেকানো যায়নি।

এদিকে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এটি জোর দিয়ে বলেছে, খেলার দিন স্টেডিয়ামে মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকেরা ইসলামভীতি ও ফিলিস্তিনবিরোধী বর্ণবাদী আচরণ করে। তাদের অপমানজনক উসকানির কারণে সহিংসতার সূত্রপাত।

অ্যাসোসিয়েশনটি বলেছে, ‘যেসব বাড়ি ও দোকানে ফিলিস্তিনের পতাকা টানানো ছিল, সেখানেই হামলা করেছে ইসরায়েলি ফুটবল দলটির সমর্থকেরা। বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।