ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজা উপত্যকার একটি গির্জায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঘরহারা মানুষদের অনেকে ওই গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সেন্ট পরফিরিয়াস নামের একটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জা প্রাঙ্গণে বিমান হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে বলেন, উপাসনা করার স্থানটির খুব কাছে হামলা হয়েছে। সেখানে গাজার অনেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা এএফপি। তারা বলেছে, হামলার খবরটি তারা যাচাই করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হামলায় গির্জার সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গির্জার পাশের একটি ভবনও ধসে পড়েছে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেন্ট পরফিরিয়াস হলো গাজায় এখন পর্যন্ত চালু থাকা সবচেয়ে পুরোনো গির্জা।
দ্য অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট অব জেরুজালেম কর্তৃপক্ষ সেন্ট পরফিরিয়াস গির্জায় হামলার ঘটনায় কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গির্জা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অসহায় নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার স্বার্থে সেখানে গড়ে তোলা আশ্রয়কেন্দ্রকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করাটা যুদ্ধাপরাধ। একে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। ১৩ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ঘরহারা মানুষেরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এসব জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল।’
গাজা উপত্যকার আল-আহলি আরব হাসপাতাল থেকে গির্জাটির অবস্থান খুব বেশি দূরে নয়। গত মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪৭১ জন নিহত হয়েছে। হামাসের দাবি, ইসরায়েল এ বিমান হামলা চালিয়েছে। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের ছোড়া রকেট লক্ষ্যচ্যুত হয়ে হাসপাতালের ওপর পড়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৭৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।