আমি ছেলেকে ইসরায়েলে হামলা চালাতে বলেছি: নিহত এক তরুণের মা

গত শনিবার ইসরায়েল সীমান্তে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ট্যাংক ঘিরে উচ্ছ্বাস করেন হামাস সদস্যরা। তাঁদের মতোই ইসরায়েলে হামলা চালাতে সোমবার দেশটিতে ঢুকেছিলেন ২২ বছর বয়সী হামজা
ছবি: এএফপি

হামাসের হামলার পাল্টায় শনিবারই গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। এর দুই দিন পর সোমবার ইসরায়েল সীমান্তে ঢুকে দেশটির সেনাদের হাতে নিহত হন ২২ বছর বয়সী হামজা। তাঁর মা আজব মৌসা (৪৫) বর্তমানে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বুর্জ আল–শেমালি শহরের একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করছেন।

শুক্রবার ওই শিবিরে গিয়ে কথা হয় সদ্য সন্তান হারানো মা আজব মৌসার সঙ্গে। এই নারী বলেন, ছেলে হামজার জন্য তিনি গর্ববোধ করছেন। তিনি নিজেই ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য ছেলেকে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন।

‘সে আমাকে বলেছিল যে সে কী করতে যাচ্ছে।...আমি তাঁর পক্ষ নিয়েছিলাম এবং নিশ্চিত করেছিলাম যে সে যেন এই পরিকল্পনা থেকে সরে না আসে,’ বলেন আজব মৌসা। এই মা বলেন, ‘আমার যদি ১০টি ছেলে থাকত, তাহলে আমি তাদের সবাইকে একই কাজ করতে পাঠাতাম। কারণ, আমাদের নিজেদের ভূমি ফিরে পেতে হবে।’

এই পরিবার ২০১১ সালে সিরিয়া থেকে লেবাননে আসে। তাঁরা কখনো ফিলিস্তিনে থাকেনি। হামজা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বলেছেন, তিনি কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নন। তবে ভাই যা করেছেন, এমনই কিছু তিনিও করতে চান। ভাইকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার সবাই তাঁকে নিয়ে গর্ব করেন।’