লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হলেন ৭১ বছর বয়সী নাঈম কাশেম। গত সেপ্টেম্বরে সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর উপপ্রধান নাঈম এবার সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে হাশেম সাফিউদ্দিনকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে সাফিউদ্দিনকে হত্যা করে।
১৯৫৩ সালে নাঈমের জন্ম হয় বৈরুতে। তাঁর পরিবারটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এখানে এসেছিল। লেবাননের রাজনৈতিক দল আমল মুভমেন্টে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে নাঈমের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তবে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের সময় তিনি সেই দল থেকে সরে দাঁড়ান।
হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাঈম কাশেম। সংগঠনটি গঠনের সময় এ–সংক্রান্ত বৈঠকগুলোতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড করর্পসের সমর্থনে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ সালে সংগঠনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস আল-মুসাউই নাঈমকে উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরের বছরই অবশ্য ইসরায়েলের হেলিকপ্টার হামলায় আব্বাস নিহত হয়েছিলেন।
হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরও নাঈম আগের দায়িত্বেই ছিলেন। এমনকি হিজবুল্লাহর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে বিদেশি গণমাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন।
হাসান নাসরুল্লাহ মারা যাওয়ার পর হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তিনি প্রথম টেলিভিশনে এ নিয়ে কথা বলেন। ৮ অক্টোবর নাঈম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ইসরায়েলের আক্রমণ সত্ত্বেও হিজবুল্লাহর সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের নতুন নেতাকে বেছে নেওয়া হবে।