ইরানে আলবোর্জ প্রদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ পান করার পর বিষক্রিয়ায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
আলবোর্জ প্রদেশের প্রধান বিচারপতি হোসেইন ফজলে হারিকান্দি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএকে বলেন, এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। আর ১৮০ জন বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগই ছাড়া পেয়েছেন। তবে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারান, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে কিডনি কাজ না করায় তাঁদের ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে।
এ ঘটনায় আলবোর্জ প্রদেশ কর্তৃপক্ষ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং প্রসাধনী কারখানা থেকে বিতরণ হওয়ার আগে ছয় হাজার লিটার মদ জব্দ করা হয়।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান মদ–জাতীয় পানীয় তৈরি ও পান করা নিষিদ্ধ করে। তবে তখন থেকেই কালোবাজারে মদ ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে কিছু চোরাচালানের মাধ্যমে আসা। আবার কিছু হলো স্থানীয় ব্যক্তিদের তৈরি নিম্নমানের মদ, যেগুলোয় ইথানলের বিকল্প হিসেবে সস্তা মিথানল ব্যবহার করা হয়।
ইরানের ফরেনসিক ইনস্টিটিউট জানায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত গত ১২ মাসে ভেজাল মদ পান করে ৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়, যা এর আগের ১২ মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
২০২২ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে দেশীয় তৈরি মদ পান করে আটজনের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে এ ধরনের পানীয় পান করলে করোনার হাত থেকে মুক্তি মিলবে এমন বিশ্বাসে এই মদ পান করে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।