হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ঘিরে ‘রহস্য’ থেকেই গেল

দেখতে দেখতে আরেকটি বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন, মূল্যস্ফীতি আর যুদ্ধের বছর ছিল ২০২৪। এ বছর বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া বিশেষ বিশেষ ঘটনা নিয়ে পাঠকদের জন্য আমাদের বিশেষ আয়োজন।

তিনি ছিলেন কট্টরপন্থী ও রক্ষণশীল। ইরানের রাজনীতিতে ছিল তাঁর দুর্দান্ত প্রভাব। তাঁকে ভাবা হচ্ছিল দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ভবিষ্যৎ উত্তরসূরি।

নিজের কঠোর ও অনড় মনোভাবে কারণে ইরানের ক্ষমতার বলয়ে ইব্রাহিম রাইসি হয়ে উঠেছিলেন ভীষণ আস্থার এক নাম। কিন্তু একই স্বভাবের কারণে তিনি দেশটির জনগণের কাছে নিদারুণ অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর প্রতি মানুষের অনাস্থা এতটাই বেড়েছিল যে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানের কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

চলতি বছরের ১৯ মে ইরানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ইব্রাহিম রাইসি, তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। রকেট গতিতে যিনি ইরানের ক্ষমতার চূড়ার দিকে ছুটে চলছিলেন, হঠাৎ করে একদিন তিনি যেন নাই হয়ে গেলেন।

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়া নিছক দুর্ঘটনা ছিল, নাকি গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন তিনি, সে রহস্য আজও অজানা। রাইসির মৃত্যু ঘিরে কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। যদিও পরদিন ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো খুব সরল ভাষায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছিল।

ওই দিন যা ঘটেছিল

‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টার নিখোঁজ’—১৯ মে সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ইরানের দিকে। হেলিকপ্টারটি যেখান থেকে নিখোঁজ হয়, সেটি ছিল দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। কয়েক ঘণ্টার অনুসন্ধানের পর জানা যায়, রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। পরদিন রাইসি নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়।

সেদিন আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাইসি। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টার বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি। সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টার। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। সেদিন বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারে রাইসি, তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

১৯ মে প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টারে ৯জন আরোহী থাকার কথা জানানো হয়। কিন্তু উদ্ধার হয় আটটি মৃতদেহ। হেলিকপ্টার নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইরানের আধা–সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তাঁর দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং তিনি শহীদ হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করা হয়। বাকি সংবাদমাধ্যমগুলোও একই ধরনের খবর প্রকাশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল ২১২ মডেলের এই হেলিকপ্টারে করে শেষেবার ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি

‘আমি জানতাম, আমার ছেলে আর ফিরবে না’

ইরানের প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডের প্রধান ছিলেন মেহেদি মুসাভি। তিনি ইব্রাহিম রাইসির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন এবং ১৯ মে তাঁর সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মুসাভিও মারা গেছেন জানার পর তাঁর বাবা ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছিলেন, তিনি জানতেন তাঁর ছেলে ওই সফর থেকে আর ফিরে আসবেন না।

কেন মেহেদি মুসাভির বাবার এমন মনে হয়েছিল, সে ব্যাখ্যাও টেলিভিশন ক্যামেরার সামনেই দেন মুসাভির বাবা। তিনি বলেছিলেন, ‘ওই সফরে যাওয়ার আগের রাতে তিনি (মেহেদি মুসাভি) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে ওঠে আবার নেমে আমাদের কাছে আসেন। আমাদের সঙ্গে আরও ২০ মিনিট কাটান তিনি। তারপর চলে যান। গাড়িতে কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি আবার ফিরে আসেন এবং আরও ১০ মিনিট আমাদের কাছে থাকেন।’

তৃতীয়বার বিদায় নেওয়ার সময় মুসাভি তাঁর বাবা ও মায়ের পায়ে চুমু খান বলেও জানান তাঁর বাবা।

ছেলের এই আচরণ বাবার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার তখনই মনে হয়েছিল, সে আর ফিরে আসবে না। আমি জানতাম, আমাদের আর কখনো দেখা হবে না।’

দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী রহস্য

মেহেদি মুসাভির সঙ্গে সেদিন রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারে আরেকজন প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডের থাকার কথা ছিল। প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডের ওই সদস্যের নাম জাভেদ মেহরাবল। তাঁকে ধরেই বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে ৯ আরোহী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মেহরাবলের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি, যা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

ওই রহস্যের জাল আরও গাঢ় হয়, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার চার দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টকে ঘিরে। ওই পোস্টে রাইসির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে পেছন দিকের এক কোনায় মেহরাবলকে অস্বস্তি নিয়ে ঝুঁকে থাকতে দেখা যায়।

পরে প্রেস অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে মেহরাবলের একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে মেহরাবল বলেন, একেবারে শেষ মিনিটে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেহেদি মুসাভি তাঁকে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না উঠে বহরে থাকা অন্য দুই হেলিকপ্টারের যেকোনো একটিতে উঠে যেতে বলেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্য কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নেওয়া হচ্ছে

শেষের কয়েক মুহূর্ত নিয়ে সরকারি কর্মকর্তার ভাষ্য

১৯ মে রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার আগের কয়েক মুহূর্তে কী ঘটেছিল, সেই সময়ের বর্ণনা দিয়েছিলেন রাইসির চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি। তিনি সেদিন প্রেসিডেন্ট বহরে ছিলেন। তবে অন্য একটি হেলিকপ্টারে। রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট পুরো বহরের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বাঁধ উদ্বোধন শেষে রাইসিরা যখন ফিরছিলেন, তখন আবহাওয়া চমৎকার ও স্বাভাবিক ছিল।

ইসমাইলি বলেছিলেন, যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিট পর রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের পাইলট অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটকে আরও উঁচুতে উঠে ওড়ার নির্দেশ দেন। মূলত তিনি কাছাকাছি থাকা ঘন মেঘ এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। প্রায় আধা মিনিট পর মেঘের ওপর অন্য দুই হেলিকপ্টার দেখা গেলেও রাইসির হেলিকপ্টার আর দেখা যায়নি। প্রথমে পাইলটরা নিজেদের মধ্যে এবং পরে কর্মকর্তারা নিখোঁজ হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

তবে শেষ পর্যন্ত অন্য দুই হেলিকপ্টারের আরোহীরা মোহাম্মদ আলী আল-হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন এবং তিনিই জানান, তাঁদের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে, তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। ইসমাইলি বলেছেন, তাঁরা আরও একবার আল-হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আল-হাশেমকেও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া যত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এ খবর জানার পর প্রথম কয়েক ঘণ্টায় এ খবর সত্য নাকি মিথ্যা, এর পেছনে কার হাত আছে, তা নিয়ে অনলাইনে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ২২ শতাংশ এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ভুয়া কিনা, তা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। সে সময় আরও কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল।

তেল আবিব ভিত্তিক সাইবার-নিরাপত্তা কোম্পানি সায়াব্রা বলেছিল, তারা সে সময়ে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে। সেখানে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট ‘এলি চপটার’ রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে আছেন। হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি কৌতুক থেকে ওই নামটি নেওয়া হয়। যদিও গত কয়েক বছরে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও সেনা কর্মকর্তাকে খুন করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল রাইসির হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।

ইব্রাহিম রাইসি কে ছিলেন

ইরানের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজাভি খোরসান প্রদেশের প্রধান শহর মাশহাদে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাইসি। তাঁর নাম সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসুলসাদাতি। ১৯৮৮ সালে পাঁচ মাসের জন্য তিনি বিচার বিভাগীয় একটি কমিটির সদস্য ছিলেন। এই কমিটি রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ধারাবাহিক এক প্রক্রিয়ার তদারকি করেছিল। এই ভূমিকার কারণে তিনি ইরানের বিরোধীদলগুলোর মধ্যে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

রাইসি ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির প্রিয়ভাজন ছিলেন। তিনি সরকারি নানা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করেছিলেন রাইসি। কিন্তু সেবার তিনি ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে হেরে যান। রুহানি মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

২০২১ সালের নির্বাচনে ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হন রাইসি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরের বছর দেশটির নীতি পুলিশের হাতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বলপ্রয়োগ করে ওই আন্দোলন দমন করেছিলেন রাইসি।

২০২২ সালে ইরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলেছে

২০২৩ সালের মাঝামাঝি ওই আন্দোলনের আগুন পুরোপুরি নেভে। কিন্তু আন্দোলনের কয়েক মাসে শত শত আন্দোলনকারী নিহত হন। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।

মাশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে আন্দোলন ইরানের বর্তমান কট্টর শাসকদের ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ওই আন্দোলন সফলভাবে দমন করতে সক্ষম হওয়ায় রাইসি শাসক বলয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন। ক্ষমতার চূড়ায় ওঠার পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন আরও অনেকটা।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির তিন বছরে পশ্চিমা বিশ্ব এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কের তিক্ততা শুধুই বেড়েছে। তিনি দেশের জনগণকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে ক্ষমতার চূড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর যাত্রা যে এভাবে থেমে যেতে পারে, তাঁর চরম শত্রুও হয়তো তা কল্পনা করতে পারেননি।

তথ্যসূত্র

টাইমস ম্যাগাজিন, রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা