তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষা
তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষা

সাত মাসে ইসরায়েল ছাড়লেন ৪০ হাজার মানুষ

ইসরায়েল ছেড়ে বিদেশগামী লোকজনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ইসরায়েলিরা এত সংখ্যায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন যে দেশটি আগে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েনি। বিদেশ যাওয়ার সময় লোকজন তাঁদের অর্থসামগ্রীও নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষিত ও দক্ষ লোক ইসরায়েল ছেড়ে যাচ্ছেন।

জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এভাবে লোকজন বিদেশে পাড়ি জমাতে থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি বেশি হবে।

ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসে ৪০ হাজার ৬০০ ইসরায়েলি দেশ ছেড়েছেন। ২০২৩ সালে যত মানুষ ইসরায়েল ছেড়েছিল, এ বছর তার চেয়ে বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছেন।

ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো দীর্ঘ মেয়াদে ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়া ও ফিরে আসা ব্যক্তিদের হিসাবের তথ্য হালনাগাদ করেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইসরায়েল ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিলেন ৫৫ হাজার ৪০০ মানুষ। আগের এক দশকের গড়ের তুলনায় যা ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ইসরায়েল থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৭ হাজার ১০০ ব্যক্তি বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। একই সময় ২৭ হাজার ৮০০ ব্যক্তি সেখানে ফিরেছেন, যা এক দশকের গড় ২৩ হাজার ৮০০–এর তুলনায় বেশি।

এর আগে ২০২১ সালে ইসরায়েলে বিদেশে পাড়ি দেওয়া ও ফিরে আসা ব্যক্তিদের যে হিসাবের পদ্ধতি ছিল, তাতে অভিবাসী হওয়া ও দেশে ফেরা ব্যক্তিদের সংখ্যা কম দেখানো হতো। নতুন হিসাবে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ১০০ নাগরিক ইসরায়েল ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

২০২৩ সালে ইসরায়েল থেকে অভিবাসী হওয়া ব্যক্তিদের ৩৯ শতাংশই তেল আবিবসহ ধনী জেলাগুলোর বাসিন্দা ছিলেন। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ ব্যক্তি হাইফা ও উত্তরাঞ্চলের আর ১৫ শতাংশ দক্ষিণাঞ্চলের। এর বাইরে জেরুজালেম থেকে ১৩ শতাংশ ও জুডিয়া ও সামারিয়া থেকে ৫ শতাংশ ব্যক্তি বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন।

তবে এ বছরের গ্রীষ্মে ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়া মানুষের হার বাড়ে। এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে গড়ে ৫ হাজার ২০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু গত জুন ও জুলাই মাসে তা ৭ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে যায়।