ইরানের ইস্পাহান শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে গত শুক্রবার ইসরায়েলের চালানো হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্যাটেলাইটের প্রকাশিত কিছু দৃশ্যে দেখা গেছে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ধারণ করা হয় এসব দৃশ্য।
বিবিসি ভেরিফাই দুটি দৃশ্য বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা যায়, হামলায় ইস্পাহানের ওই বিমানঘাঁটির একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান শহরের কাছে একটি পারমাণবিক স্থাপনার সুরক্ষায় নিয়োজিত রাডার–ব্যবস্থা লক্ষ্য করে ইসরায়েল ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান। তবে ইসরায়েলের তরফে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার পর লক্ষ্যস্থল ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে নানা রকমের অনুমান শুরু হয়। তবে ইরান বলেছে, ড্রোনের সমন্বয়ে চালানো ওই হামলা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সহায়তায় নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেন, শুক্রবার ভোরে ইরান সীমান্তের বাইরে থেকে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে ইরানের কর্মকর্তাদের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, বিমানঘাঁটিতে ওই হামলা ছাড়াও ইস্পাহানের প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে তাবরিজ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এ হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ইস্পাহানে বিকট শব্দে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আকাশে দেখা দেয় আলোর ঝলকানি। এ ঘটনার পর রাজধানী তেহরানসহ ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের আকাশসীমা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে এ মাসের শুরুতে সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন নিহত হন। জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় ইরান।
ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার পর লক্ষ্যস্থল ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে নানা রকমের অনুমান শুরু হয়। তবে ইরান বলেছে, ড্রোনের সমন্বয়ে চালানো ওই হামলা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সহায়তায় নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।
হামলায় ঠিক কোন ধরনের অস্ত্র বা অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও স্যাটেলাইটে ধারণ করা দৃশ্যে ওই বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে।
অবশ্য হামলার পর এখনো ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনা থেকে কোনো ছবি পাওয়া যায়নি। আর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।’